সৌন্দর্যের রানী। লাভা থেকে রিশপ। যাবেন নাকি বেড়াতে?
নিউজ ডেস্ক – করোনা অতিমারির সময় একটানা দীর্ঘদিন ঘরবন্দি বহু মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই একটা একঘেয়েমি ভাব চলে এসেছে সকলের মধ্যে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি বদল করতে ঘুরে আসা যায় কালিংপং থেকে। তবেই কালিম্পংয়ের বিশিষ্ট তিনটি দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলি পর্যটন স্থান হিসেবে লোভনীয়। যেমন –
১) লাভা — এই গ্রামটি রয়েছে ২৩৫০ মিটার উচ্চতায়। তবে এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে একটি শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির ও প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। তবে যেই জিনিসটা মানুষকে আকৃষ্ট করে সেটি হচ্ছে কুয়াশা ও মেঘে ঢাখা পাইন গাছের সমারোহ। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে যথেষ্ট উপযোগী। উন্নত ও সুব্যাপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপোলি মুকুট লাভার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ।
২) লেলেগাঁও — কালিম্পংয়ের অন্যতম একটি শান্ত ও ছোট্ট গ্রাম হচ্ছে লেলেগাঁও। এই গ্রামে পৌঁছাতে হলে কালিম্পং ও লাভা থেকে পাইন গাছের জঙ্গলে ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ ধরে পৌঁছাতে হবে। সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। এখানে গাও গ্রাম থেকে ভোরের কুয়াশার মাঝে দাড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ব্যাপার। তবে এখানে রাত নামলেই বনবাংলোর বারান্দায় বসে গোটা কালিংপং শহরকে দেখলে মনে হবে পাহাড়ের গায়ে অলিখিতভাবে প্রতিনিয়ত টিমটিম করে জ্বলছে অগুনতি জোনাকি।
৩) রিশপ — কালিম্পংয়ে সৌন্দর্যের রানী বলা হয় রিশপকে। কারণ ওটা কালিম্পং এর মধ্যে একমাত্র এই অঞ্চলটি রয়েছে যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঠাসা। এটি মূলত লাভা থেকে ১০ কিলোমিটার এবং কালিংপং থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উচ্চতার পরিমাপে প্রায় ৮২৫০ ফুট উঁচু। তবে একটি অজানা তথ্য হচ্ছে রিশপ শব্দের অর্থ পাহাড়ের মাথায় একলা গাছ। সুতরাং এই অঞ্চল থেকে নাথুলা পাস, তিন সীমানা, গ্যাংটক তিব্বতের পাহাড় সহ হিমালয়ের সিংহভাগ অসাধারণ দৃশ্য নজর কাড়ে।