বাচ্চাই মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুষতে থাকে। ভীষণ অস্বাস্থ্যকর। কিভাবে কমাবেন?
নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা: বাচ্চাদের মুখে আঙ্গুল এক সাধারণ চিত্র যা নিয়ে চিন্তিত প্রায় সব বাবা-মা-ই। বাচ্চাদের বেশিরভাগ সময়ই আঙুল মুখে পুরে রাখতে দেখা যায়। প্রায় সব বাচ্চাই মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে তা চুষতে থাকে,যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু এর উপায় কি?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা:
জন্মের পর থেকে ৭/৮ মাস বা আরও কিছু বেশি সময় পর্যন্ত আঙুল চোষা প্রায় সব শিশুর ক্ষেত্রেই এক অতি সাধারণ অভ্যাস বা বলা যায়, তাদের বেড়ে ওঠার একটা অংশ।কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এটিকে আর স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করা যায় না। বিষয়টি আরও বেশি সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়, যখন শিশু অনেক সময় ধরে চোষে কিংবা বড় হয়েও যখন তার এই অভ্যাসটি থেকে যায়।এই প্রবৃত্তি শিশুর অপরিপক্বতা নির্দেশ করে, যা অনেক সময় মা-বাবার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ ছাড়া অপরিষ্কার আঙুল মুখে দেওয়ায় পেটের অসুখ-ডায়রিয়া, বমি এবং পেটে কৃমি হওয়ার মতো বিষয়গুলোর ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। আঙুল চোষার কারণে শিশুর দাঁতের বিন্যাস ও নষ্ট হয়, দাঁত এবড়োখেবড়ো, বাঁকা হয়ে গজানোর আশঙ্কা থেকে যায়।
বিশেষজ্ঞের মতে, বেশিরভাগ সময় আঙুল চোষা তেমন গুরুতর কোনো সমস্যা নয়।যদি শিশু কোনো কারণে রেগে যায় বা উত্তেজিত হয়, তা হলে এটা তাকে শান্ত করতে সাহায্য করে আবার কখনো কখনো যদি সে একঘেয়েমিতে ভোগে, তা হলে এটা তাকে উদ্দীপ্ত করে তোলে। আসলে আঙুল চোষাকে ঠিক কোনো অসুখের মধ্যে ফেলা যায় না।এটা শিশুদের এক ধরনের আরামদায়ক অভ্যাস। তাই এই নিয়ে বাবা-মায়ের বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
আঙুল চোষার সময় শিশুকে জোর করে তা বন্ধ করার জন্য বাধ্য করবেন না কিংবা বিকল্প হিসেবে কোনো চুষনি দেবেন না। শিশুর এই অভ্যাসটি অনেক সময় হতাশা ও নিরাপত্তাবোধের অভাব থেকে উৎসারিত তার মানসিক চাপ লাঘবের একটি পদ্ধতি।সেই কারণে শিশুর পরিচর্যার বিষয়টিতে আরও সতর্ক ও যত্নবান হওয়া উচিত। তার মনে কোনো উদ্বেগ বা হতাশা আছে কিনা, থাকলে তা কেনই বা আছে খেয়াল করুন এবং সমাধান করার চেষ্টা করুন। শিশু যেসব বিষয়ে আনন্দ পায়, আগ্রহ প্রকাশ করে, সে রকম কিছুতে মন ধরিয়ে দিন, যাতে সে এটি ভুলে যায়।একই ঘটনার জন্য বারবার তাকে শাসন না করে বরং শিশুর আচরণের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করে তাকে উৎসাহিত করুন।