গাছ বড় হলেই বেঁকে যায় পৃথিবীর কোন দেশে?
নিউজ ডেস্ক: ১৯৪০ সালের প্রথমদিকে যে বিষয়টি একটি রহস্যের আবর্তন ঘটায়। সেটি হল যে গাছের গোড়ার দিকটা বাঁকা। অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এই গাছটি জিনগত সমস্যা। তবে কীভাবে এ রূপান্তরিত হয়েছে সে কথাটা ও বিজ্ঞানীরা অনিশ্চিত।
গাছগুলো দেখলে মনে হয় কেউ সেগুলো ধরে মচকে দিয়েছে । যেহেতু গাছগুলো গোড়ার দিকটা বড় হয় তাই উপর থেকে গাছগুলো সরু হয়ে বাঁকা হয়ে যায়।এই ভিন্নতা ছাড়া গাছগুলোর মধ্যে অন্যান্য গাছের মতো সব বৈশিষ্ট ই রয়েছে। এই গাছ নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা গবেষণা করেছেন। বিভিন্নভাবে এর কারণ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেছেন। তবে তারা অনুমান করে নয় বরং রহস্য উন্মোচন করতে চায় যাতে সবাই জানতে পারে যে গাছগুলো ধরন এমন কেন হয়েছে ।
প্রকৃতিগত হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরও এ কাজগুলো সোজা হয়ে থাকছে না। কিন্তু অন্য সব দিকেই বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত আস্পেন গাছ 15 বছর পরে এই উচ্চতায় পৌঁছে যায় । এই গাছগুলো 15 থেকে 20 ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং প্রায় সত্তর বছর বয়সী হয়ে যায়।এই গাছগুলোকে ক্রুকড ট্রি বা ক্রুকড বুশ বলা হয়।
রহস্যময় পৃথিবীর জলমগ্ন থেকে স্থলমগ্ন পর্যন্ত বেশ কিছুটা রহস্যাবৃত।এখনো রহস্য ভেদ করতে পারেনি বিজ্ঞানীর।ক্যানাডার স্যাসকাচোয়ানে তেমন একটি রহস্যের সন্ধান পাওয়া যায়।সেখানকার হাফর্ড শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং আলটিকেনের ঠিক পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এক জঙ্গল রয়েছে।
আবার অনেকের মতে, এই অঞ্চলের মানুষ পশু পালন করত। তাদের ধারনা ছিল গাছের নীচে দিয়ে গরু-ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি নিয়ে গেলে তাদের অমঙ্গল হবে। এই ভেবে তারা সেখান দিয়ে পশু নিয়ে যাওয়ার সময় ছোট গাছগুলোর গোঁড়ায় পাড়া দিয়ে চলে যেত। এতে গাছগুলো গোঁড়া থেকে হেলে পড়ত। কিছু কিছু স্থানীয় মানুষের মতো ব্রজপাতের জন্য মানুষের এই অবস্থা ।
এখন সারা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এই গাছগুলো।অনেক হাজার হাজার মানুষ শুধু এ গাছ দর্শন করার জন্য সেখানে ভিড় জমায়। কৌতূহলবশত গাছের সাথে ছবিও ওঠে দর্শনার্থী ।এর আগে ঘন জঙ্গল হওয়ায় সেখানে কেউ যেতে পারত না।স্থানীয় বাসিন্দার মতে1940 দশকের প্রথম দিকে মানুষ প্রথম গাছগুলো দেখতে পেয়েছিল ।