বাঁশ-ই আটকাতে সক্ষম ভূমিকম্প
নিউজ ডেস্কঃ খুন, অ্যাক্সিডেন্ট, রাহাজানি সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজ কোন ব্যক্তি করলে তাকে যথারীতি শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃতির দ্বারা বন্যা ও ভূমিকম্পে যখন একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় তখন শাস্তি দেওয়ার জন্য কোন ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকে না। কিন্তু বন্যা ভূমিকম্প রোষের মুখে পড়ে বাড়িঘর বিপর্যস্তের পাশাপাশি মৃত্যু হয় বহু মানুষের। তবে এবার ঘরবাড়ি ধ্বংস হাত থেকে বাঁচানোর এক বিশেষ উপায়ে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। যার মাধ্যমে যেমন একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে তেমনি অন্যদিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচবে দালান বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে দালান বাড়ির পরিবর্তে যদি বাঁশ দিয়ে বাড়ি বানানো হয় তাহলে অনেকাংশে ভূমিকম্পে হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে বাড়িগুলি।
তবে এই ভূমিকম্পের রেশ ভারতে না পড়লেও বিদেশে এর জোরালো প্রভাব পরে। আর্কিটেক্টস উইদাউট বর্ডার্স সংগঠনের সদস্য রোব্বানি এ রোমিস বলেন, হালকা ও নমনীয় উপকরণ হিসেবে বাঁশ বেছে নেওয়া হয়েছে। সুলাওয়েসি দ্বীপের কেন্দ্রস্থলে কুলাউই মালভূমি অত্যন্ত বিপর্যয় প্রবণ এলাকা। এখানে প্রায় সব বন্যা ও ভূমিকম্প দেখা যায়। যার কারণে এলাকাটি বহুবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়া এখানে এলাকার বাসিন্দারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মাঝে মাঝে। সম্প্রতি পালু অঞ্চলে বোলাপাপু গ্রামে ভূমিকম্পের রেশে দীর্ঘদিন পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে এএসএফ-আইডির সহযোগিতায় বসবাস ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জায়গা গড়ে তুলছে সমর্থক হন গ্রামবাসীরা।
তবে এই সকল ভূমিকম্প হলে কিভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা করে গ্রামের বাসিন্দারা সেই সম্পর্কে গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, প্রাচীন যুগে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বাড়ি তৈরি করার রীতি ছিল। কিন্তু যুগের পরিবর্তনে উন্নত হতেই ইট দিয়ে বাড়ি বানানো তৈরি করা শিখেছে গোটা প্রজাতি। কিন্তু যখন ভূমিকম্প দেখা যায় তখন যে সকল ঘরবাড়ি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সেখানে কাঠের তৈরি বাড়ি নির্মাণ করা হয়।
অন্যদিকে আর্কিটেক্টস উইদাউট বর্ডার্স সংগঠনের সদস্য রোব্বানি এ রোমিস বলেন, বিয়ে বাড়ি নির্মাণ করলে যেমন একদিকে বাড়ি ভাঙার ভয় থাকে সে রকমই অন্যদিকে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে। যে সকল এলাকায় জল স্তর কমে গেছে সেখানে বাশের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুরো অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা রাখে বাঁশ গাছ ।