নিউজ ডেস্ক – সমাজ সভ্য হয়ে ওঠার বহুকাল আগে মাঠে ঘাটে বা কোন খোলা জায়গায় শৌচকার্য সম্পন্ন করতো সকল মানুষ। তবে পরিবর্তনশীল সমাজ উন্নত হয়ে ওঠায় বিষয়টি ব্যক্তিগত ও লজ্জাজনক হওয়ায় শৌচাগার নির্মাণ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে। যদিও বা বর্তমানে প্রত্যন্ত গ্রামে চোখ রাখলে দেখা যায় আজও বাইরে শৌচ করছে গ্রামবাসীরা।
তবে শৌচাগারে রয়েছে একাধিক নাম। কেউ বলে শৌচাগার, শৌচালয় তো আবার কেউ বলে ওয়াশরুম বাথরুম, টয়লেট বা রেস্টরুম। বাঙালি সহ অধিকাংশ মানুষেরা বাথরুম বা শৌচালয়কে নিজেদের সময় কাটানোর এক বিশেষ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ গবেষণা করে জানা গিয়েছে অধিকাংশ মানুষই বাথরুমে নিউজপেপার কিংবা বই পড়তে ভালবাসেন। এমনকি সারাদিনের তথা ভবিষ্যতে সকল চিন্তাও বাথরুমে করতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। যার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয় শৌচালয়ে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনের এত মূল্যবান সময়ের অপচয় করতে বড়ই নারাজ কয়েকটি দেশের সরকার। যার কারণে শৌচালয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিষিদ্ধ জারি করেছেন তারা।
বেজিং, সাংহাই, গুয়াংঝৌ, শেনঝেনের গভারমেন্ট পাবলিক শৌচালয় মাত্র ১৫ মিনিট ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। এর বেশি সময় অতিবাহিত করলেই সেন্সরের মাধ্যমে বাজবে অ্যালার্ম। কারণ ভিন দেশগুলিতে ১৫০টি স্মার্ট পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি কিউবিকল একটি সেন্সর লাগানো হয়েছে যা ভিতরে থাকা কোন ব্যক্তির টয়লেটের মধ্যে থাকার সময়সীমা নির্ধারণ করতে সক্ষম। এছাড়াও ইনফ্রারেড রশ্মি এবং আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে বিষয়টি নির্ধারণ করা যায়। তবে কোনো ব্যক্তি বেশি সময় টয়লেটে বন্দী থাকলেই সেন্সরটি টয়লেটের মধ্যেকার বাতাসের গুণমান যাচাই করতে পারে পাশাপাশি এতে রয়েছে জল সংরক্ষণের ফিচার যা বলে দিতে পারবে কতটা পরিমাণে জল মজুদ রয়েছে। এসকল দেশগুলির এত উন্নত মানের সূচনা করার পেছনে কারণ বিমানবন্দরের মতো এলাকায় অপরাধপ্রবণতা কম করার এই অভিনব প্রয়াস সরকারের।