১০১ পুত্রের মধ্যে একটি মাত্র পুত্র যুদ্ধের পরেও বেঁচে ছিল। কেন পাণ্ডবরা মহাভারতের যুদ্ধে তাঁকে হত্যা করেননি?
নিউজ ডেস্কঃ পৌরাণিক কাহিনীগুলির মধ্যে মহাভারত হল অন্যতম।এই পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।যে বিচিত্রবীর্যের পুত্র ধৃতরাষ্ট্র জন্ম থেকে অন্ধ হওয়ার কারনে হস্তিনাপুরের রাজা হন তার ছোট ভাই পাণ্ডু।তবে পাণ্ডুর অবর্তমানে হস্তিনাপুরের রাজা হন ধৃতরাষ্ট্র।তারপর ধৃতরাষ্ট্রের সন্তান হয় ১০০ টি পুত্র এবং একটি মেয়ে এবং পাণ্ডুর সন্তান হয় পাঁচটি পুত্র।আর এই দুই ভাইয়ের পুত্রদের মধ্যে রাজপাঠ নিয়ে যুদ্ধ হয়।যার ফলে পাণ্ডবদের হাতে কৌরব বংশের নাশ হয় অর্থাৎ ধৃতরাষ্ট্র ১০০ টি পুত্রের মৃত্যু হয়।তবে আপনারা কি জানে যে ধৃতরাষ্ট্রের ১০১ টি পুত্র ছিল? এবং ওই ১ টি পুত্র যুদ্ধের পরেও বেঁচে ছিল।
তাহলে জেনে ধৃতরাষ্ট্রের ওই ১ টি পুত্রের কথা যে পাণ্ডবদের পক্ষে ছিল। মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর ১০০ টি পুত্র এবং ১ টি কন্যা সন্তান ছিল।এছাড়াও মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র আরেকটি পুত্র ছিল যার নাম ছিল যুযুৎসু।ধৃতরাষ্ট্রের এই পুত্রটি এক বৈশ্য দাসীর গর্ভের থেকে জন্মগ্রহন করে।যেহেতু যুযুৎসু দাসীর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহন করছিল তাই তাকে রাজকুমারের সম্মান দেওয়া হয় নি এবং ধৃতরাষ্ট্রের বাকি পুত্ররাও তাকে অবহেলা করত।ধৃতরাষ্ট্রের এই পুত্রটি তার বাকি পুত্রদের থেকে আলাদা ছিলেন।যুযুৎসু ধর্মের পথে ছিলেন।আর তাই তিনি কৌরবদের পক্ষ ছেড়ে পান্ডবদের পক্ষে ছিলেন।যুদ্ধের সময়ও তিনি পন্ডবদের হয়ে যুদ্ধেক্ষেত্রে যান।আর তাই ধৃতরাষ্ট্রে ১০০ টি পুত্রের মৃত্যু হয় কিন্তু তার ওই ১ টি পুত্রের মৃত্যু হয় না।কৌরব বংশের হয়ে যুযুৎসুই একমাত্র যুদ্ধের পরে বেঁচে ছিল।তাই কৌরব বংশের পুরোপুরি নাশ হয়নি।