অসুস্থতার সময়েও স্ত্রীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারনে দৌড়াতে হল কোর্ট পর্যন্ত
নিউজ ডেস্ক – ডিভোর্স অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ কথাটি অজানা নয় কারোরই। বহুবার দেখা গিয়েছে দাম্পত্য জীবনে সুখী না থাকায় বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন বহু দম্পতি। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে জানা যায় পারিবারিক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে না নেওয়া অথবা সঙ্গীর সাথে সুখ না পাওয়া কিংবা পরকীয়ার জেরে এবং পণ্যের দাবীতেও ডিভোর্স চেয়েছেন বহু দম্পতিরা। কিন্তু সকলের অলক্ষ্যে এমনও কিছু অবান্তর কারণ রয়েছে যার ভিত্তিতে আদালতের ডিভোর্স চেয়েছেন সেই দম্পতি।
কারণগুলি খতিয়ে দেখলে জানা যায় প্রত্যেক বছরই এমন অদ্ভুত কারণে ভিত্তিতে কোর্টে ডিভোর্স কেস ফাইল করেছিলেন কিছু দম্পতি। এবং সেই কারণ গুলি হলো ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রে এক স্বামীর ডিভোর্স ফাইল করেছিলেন কারণ তার স্ত্রী মাত্রাতিরিক্ত পার্টি করে যদিও এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি বোম্বের হাইকোর্টে। এছাড়াও ২০১৪ সালে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা অভিযোগ তুলেছিলেন যে তার অসুস্থতার সময়েও তার স্ত্রী তার সঙ্গে যৌন মিলন করেন। একপ্রকার বলতে গেলে যৌনক্ষুধায় আসক্ত ছিল তার স্ত্রী। এবং তাকে যৌনতার যন্ত্র মনে করতেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোর্টে ডিভোর্স কেস করলে কোর্ট তার মান্যতা দেয়। শুধু একটি-দুটি নয় এমন অনেক অদ্ভুত কারণ দেখা দিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো
২০০৮ সালের ঘটনায় স্ত্রীর মুখে ব্রনের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন তার স্বামী। কারন স্ত্রীর বিবাহর আগেই যে চর্মরোগ ছিল তা স্বামীর কাছ থেকে লোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার ২০১৪ সালে মুম্বাইয়ের এক দম্পতি স্বামীর অভিযোগ তার স্ত্রী ট্রাউজার পরে অফিস যায়, যেটা বড়ই অসম্মানজনক তার কাছে। আবার ২০১২ সালে মায়ের মতো স্ত্রী রান্না করতে পারেন না বলেই ডিভোর্স দিয়ে বলেছিলেন এক স্বামী। যদিও এমন অবাস্তব যুক্তিতে ডিভোর্স দেননি আদালত। ২০১২ সালে দক্ষিণ ভারতীয় এবং উত্তর ভারতীয় দুই যুবক যুবতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ঠিক বিয়ের পর থেকেই। স্ত্রীর অভিযোগ স্বামীর পারিবারিক চিকিৎসক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে নাগাড়ে মাতৃভাষায় কথা বলেছিলেন। স্ত্রী এই সব কথার একবর্ণও বোঝেননি। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ডিভোর্স চেয়ে বসেন। ১৯৮৫ সালে স্বামীর বন্ধু-বান্ধবদের চা করে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতে ডিভোর্স চেয়ে বসেন স্বামী। আরো একটি আজব ঘটনা হলো ২০১৫ সালে স্বামীকে ভদ্রসমাজে নিয়ে যাওয়া যায় না তার জন্য প্রেজেন্টেবেল নন স্বামী এই অভিযোগ তুলে ডিভোর্স চেয়েছিলেন’ স্ত্রী। উপরিউক্ত যতগুলি লেখায় বর্ণনা করা কারণগুলি ছাড়াও এমন বহু অবাস্তব কারণ রয়েছে যার ভিত্তিতে দম্পতিরা একে অপরের বিরুদ্ধে গিয়ে সোজা ডিভোর্স চেয়ে বসেছেন।