কর্ণ হল মহাভারতের একটি অন্যতম প্রধান চরিত্র এবং বীরযোদ্ধাদের মধ্যে একজন।অঙ্গরাজ কর্ণের বীরত্বের কথা আমরা সবাই জানি।অঙ্গরাজ কর্ণ অস্ত্রবিদ্যা শিখেছিলেন পরশুরামের কাছ থেকে অর্থাৎ পরশুরাম হলেন কর্ণের গুরু।কিন্তু পরশুরাম কর্ণের গুরু হওয়া সত্বেও কেন তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং এই অভিশাপের ফলে কর্ণের কি হয়েছিল?
বাল্যকাল থেকে কর্ণ ধনুর্বিদ্যায় আগ্রহী ছিলেন। তিনি কুরু রাজকুমারদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের কাছে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন কিন্তু দ্রোণাচার্য তাঁকে সুতপুত্র বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তখন কর্ণ পরশুরামের কাছে গিয়েছিলেন শিক্ষাগ্রহন করার জন্যে।এবং পরশুরামের কাছে গিয়ে নিজেকে ব্রাহ্মণ-পুত্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন কারন পরশুরাম শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের শিক্ষা দেন।এভাবে কর্ণ তাঁর মিথ্যে পরিচয় দিয়ে পরশুরামের শিষ্য হলেন।একদিন কর্ণ ধনুর্বিদ্যা অভ্যাসকালে একটি গাভীকে হত্যা করায় এক ব্রাহ্মণ তাঁকে শাপ দেন যে, যাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করবেন বলে এই অস্ত্রশিক্ষা, তাঁর সঙ্গে যুদ্ধকালে কর্ণের রথের চাকা যখন মাটিতে বসে যাবে তখন সে এই গাভীর মতই অসহায় হয়ে পড়বে আর সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ তাঁর শিরশ্ছেদ করবেন।এবং কর্ণকে ব্রহ্মাস্ত্র শেখানোর পর পরশুরাম একদিন বুঝতে পারলেন যে, কর্ণ আসলে ব্রাহ্মণ নন একজন সুতপুত্র।কর্ণের এই মিথ্যাচারের কথা জানতে পেরে পরশুরাম কর্ণকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, সংকটকাল তিনি তাঁর অস্ত্র আহ্বান মন্ত্র স্মরণ করতে পারবেন না। এই অভিশাপের কারণেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি অর্জুনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ।