দেবী দুর্গার কোন রুদ্ররূপকে আমরা মা কালী বলি?
নিউজ ডেস্কঃ কালীকে আমরা দেবী দুর্গার একটি রূপ বলে মনে করি।দেবী দুর্গা যিনি দশ হাতে দশ অস্ত্র ধারন করে অসুরদের দমন করে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করেন।সেই মা আবার মহাকাল বর্ণ ধারণ করে চার হাতে অস্ত্র, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা, গলায় নরমুণ্ডের মালা পড়ে এক রুদ্ররূপে আবির্ভূত হন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে। দেবী দুর্গার এই রুদ্ররূপকে আমরা মা কালী বলি।কিন্তু কেন মা কালী এই রুদ্ররূপে আবির্ভূত হয়েছিল? তাহলে জেনে নিন মা কালীর আবির্ভূত হওয়ার কারন।
পুরান থেকে জানা যায় অসুরের দল স্বর্গতে আক্রমণ করে।স্বর্গ আক্রমণ করে দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে স্বর্গরাজ্যের দখলের চেষ্টাও করেন অসুরের দল।এই অসুরদের প্রধান ছিল রক্তবীজ যিনি ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত ছিলেন।আর এই বরের কারনে রক্তবীজের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ভূতলে পতিত হলেই তা থেকে জন্ম নিচ্ছিল একাধিক অসুর।এমন অবস্থায় স্বর্গ এবং দেবতাদের রক্ষা করতে আবির্ভূত হয় দেবীদুর্গা।দেবীদুর্গার হাতে সব অসুর নিহত হন কিন্তু ব্রাক্ষ্মার বরপ্রাপ্ত রক্তবীজ বারবার নিহত হওয়ার পরেও আবার বেঁচে যায়। এতে দেবীদুর্গা ক্রোধাম্বিত হয়ে তাঁর ভ্রু যুগলের মাঝ থেকে জন্ম দেন দেবী কালী-কে। কালীর ভয়াবহ রুদ্ররূপ ধারন করে একের পর এক অসুরকে নিহত করতে থাকেন।দেবী রক্তবর্ণ লকলকে জিভ বের করে গ্রাস করে নিতে থাকেন একের পর অসুর এবং তাদের রণবাহিনীকে।তারপর ওই অসুরদের প্রধান রক্তবীজকে অস্ত্রে বিদ্ধ করে এবংএই রক্তবীজের শরীর থেকে একফোঁটা রক্ত যাতে মাটিতে না পরে তার জন্য মা কালী তাকে শূন্যে তুলে নেন এবং তার সমস্ত রক্ত পান করে নেন।এইভাবে রক্তবীজকে বধ করেন মা কালী।আর এই অসুরদের হাত থেকে দেবতা এবং স্বর্গরাজ্যকে রক্ষা করতে দেবী দুর্গা এই ভয়াবহ রুদ্ররূপ ধারন করেছিলেন।