যৌনতার নিরিখে পৃথিবীর কোন দেশ গুলি এগিয়ে রয়েছে?
নিউজ ডেস্ক – যৌন সংসর্গ, পরকীয়া, শারীরিক মিলন, এগুলো মনুষ্য জীবনের এক বিশিষ্ট অঙ্গ। কারণ কারো সঙ্গে শারীরিক মিলন করা কোনো অপরাধ নয়। এই মিলনের ফলেই গোটা সমাজের জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া সিংহ ভাগ দেশেই যৌনপল্লী স্কট সার্ভিস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তাদের মধ্যেও গোটা পৃথিবীতে ১৫টি এমন দেশ রয়েছে যেখানে যৌনপল্লীর মাধ্যমে সেই দেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো টিকে রয়েছে। যেই দেশগুলি যৌনতার নিরিখে তালিকাভুক্ত হয়েছে সেগুলি হল রাশিয়া, কিউবা, আর্জেন্টিনা, বালগোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কলম্বিয়া, ক্যামবেডিয়া, প্রাহা, নেপাল, থাইল্যান্ড, কেনিয়া, ম্যাকাউ, জামাইকা, লাটভিয়া, ভেনেজুয়েলা।
যে সকল ব্যক্তিরা নারী সংস্পর্শে আসতে পছন্দ করেন বা কামাতুর তাদের এই সকল দেশে একবার ঘুরে আসা অবশ্যই লাভদায়ক কারণ এখানে খুব অল্প অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় নারীসঙ্গ এমনকি বসে মদের পসরাও। তাহলে চলুন একটু স্ববিস্তারিত ভাবে জানা যায় এই দেশগুলি সম্বন্ধে।
১) রাশিয়া – যৌনপল্লীর রমরমা মূলত এক দশক ধরে চলছে রাশিয়ায়। এখানে যে সকল পর্যটকেরা উত্তর আমেরিকা ইউরোপে ঘুরতে আসেন তারা একবার করে ঘুরে যান এই দেশে। যারা একবার এই সাম্রাজ্যে পা রেখেছেন তারাই আবার ফিরে আসার জন্য আবেদন করেছেন।
২) কিউবা – এই দেশ শুধুমাত্র কমদামি মাদকদ্রব্যের বা চুরুটের জন্যই বিখ্যাত নয়। এখানে পাওয়া যায় জলের দাম এর মত এসকর্ট সার্ভিসের মেয়েদের। যার কারণে বহু দুর দুর থেকেও এই নারী সঙ্গ পেতে ছুটে আসেন বহু পর্যটকেরা। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয় এখানে কম বয়সীদের জন্য যথাসাধ্য কম বয়সী মেয়ে জোগাড় করার চেষ্টা করে দালাল চক্র সহ সেখানকার যৌনপল্লীর মহিলারা।
৩) আর্জেন্টিনা – মূলত আর্জেন্টিনা দেশ ফুটবলের মহারাজ মেসির দেশ হিসেবে পরিচিত অধিকাংশ মানুষের কাছে। আর্জেন্টিনা মানেই মেসি আর মেসি মানেই হলো আর্জেন্টিনা। তবে মেসির দেশ ছাড়াও এই দেশের আরেকটি জনপ্রিয় গুণ হলো এখানকার সরকার সম্প্রতি সমকামিতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। যার কারণে প্রতিবেশী দেশ সহ ব্রাজিল থেকেও বহু সমকামী ব্যক্তি না ছুটে আসেন এখানে। কার্যত যৌন ব্যবসার পাশাপাশি সমকামিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সরকারের দাবি এই সকল ব্যবসা করি দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করা যায়।
৪) বালগেরিয়া - এই মূলত কুখ্যাত যৌনপল্লীর কারণে। এখানে বোকার সে আর্থিক বিনিময় করা হয় সকলের যৌন আবেদন পূরণ। চার কারণে শুধুমাত্র সেই দেশের জনসাধারণের নয় প্রতিবেশী একাধিক দেশ থেকেই এই পরিষেবা করতে ছুটে আসে পর্যটকেরা।
৫) দক্ষিণ কোরিয়া – এই দেশে নারীসঙ্গ পেতেই বা যৌনপল্লীতে যেতে কোন রকম ঝুঁকি ঝামেলা পোহাতে হয় না। কারণ সামান্য অর্থের বিনিময় এখানে হোটেল ভাড়া সহ উপলব্ধ এসকর্ট সার্ভিসের মেয়েরা। যার কারণে কোনো রকম প্রশাসনিক বাধা বা স্থানীয় যেকোনো রকম নখরা ছাড়াই নিজেদের মনোকামনা পূরণ করতে পারে অধিকাংশ কামাতুর ব্যক্তিরা।
৬) কলম্বিয়া – এই দেশে একবার পা রাখলেই বোঝা যাবে এখানকার আর্থিক অবস্থা বড়ই সংকটে রয়েছে। যার কারণে অধিকাংশ মানুষই দিন আনা দিন খাওয়া করে বাড়ির কাজ করে সংসার চলে। যার কারণে এবার খুব অল্প সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমে নারীদের ব্যবসা করতে নামায় এভাবেই দেশের ব্যবসায়ীরা। যার কারণে খুব অল্প পয়সার বিনিময়ে নারীদের অসম্মান করায় এই গরীব দেশে বহু পর্যটক।
৭) ক্যাম্বেডিয়া – এই দেশ সম্প্রতি ভূষিত হয়েছে যৌনপল্লীর জন্য। তবে এই দেশে এই সকল কাজ সরকারি নজরে বেআইনি হলেও কার্যত সরকারকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে এসর্কট সার্ভিসের ব্যবসা।
৮) প্রাহা – এই দেশ বিগত ১৯৮৯ সালে যৌনপল্লীর জন্য শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব হাসিল করেছিল। যার কারণে এখানে বহু জেন্টেলম্যান ক্লাব ও রিলাক্সেশন ক্লাব রয়েছে। যেখানে অল্প অর্থের বিনিময় পাওয়া যায় বডি ম্যাসাজ সহ নারীসঙ্গ।
৯) নেপাল – মূলত প্রাচীনতম এই দেশের পোখরা ও তরাইয় অঞ্চলে বসে একাধিক ম্যাসাজ পার্লার ও বিলাসবহুল হোটেল। এখানে প্রকাশ্যেই চলে অবৈধভাবে সঙ্গম। তবে বিষয়টি অবৈধ হলেও ভিড় উপচে পড়ে প্রচুর কামাতুর ব্যক্তির।
১০) থাইল্যান্ড – এখানেই একাধিক হোটেল, বিলাসবহুল লজ, রেস্তোরাঁ বা আনাচে-কানাচে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। বছরের প্রায় প্রত্যেকটা দিনই নজরে আসে উপচে পড়া ভিড়।
১১) জামাইকা – সকল দেশে সেখানকার মহিলারাই একমাত্র যৌনকর্মী হিসেবে নির্বাচিত হলেও জামাইকাতে সেখানকার মহিলা সহ ভিনদেশী বহুমূল্য অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে নিজেদের বিপদে দুবার ভাবে না। যার কারণে এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মহিলাদের ভেরাইটিস পাওয়া যায়।
১২) কেনিয়া – এটি এমন একটি জায়গা যেখানে শুধুমাত্র এক রাতের জন্য কোন নারীকে পাওয়া যায় এমন নয়, অর্থের বিনিময় এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা গোটা একটা সপ্তাহ বা একটা দিনের জন্যও কোন মেয়েকে কিনে নিতে পারেন। নার্সারি বাগান থাকে না কোন দালাল। এরপরই টানা এক সপ্তাহ ঘোরা হয়ে গেলে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মেয়েদের বিদায় দিয়ে তারাও বিদায় হন।
১৩) ম্যাকাউ – জলের দরে শয্যাসঙ্গিনী পাওয়া যায় এই দেশে। সম্প্রতি বিচারে দেখা গিয়েছে চীনের থেকেও এখানে নারীসঙ্গ যেমন তেমনই অর্থের দিক থেকে যথেষ্ট কম রয়েছে।
১৪) লাটভিয়া – দেশের পর্যটক এর সংখ্যা বাড়াতে মূলত যৌন ব্যবসার উপর নজর দিয়েছে পূর্ব ইউরোপে লাটভিয়া শহর। কারণ একমাত্র নারী হল এমন এক বিশিষ্ট আকর্ষণ যার দ্বারা মোহিত হয়ে প্রতিবছরই নানান সময়ে ঢল নামে দর্শকদের।
১৫) ভেনিজুয়েলা – এই শহরের মার্গারিটা দ্বীপ জনপ্রিয় যৌনপল্লীর কারণে। এখানে প্রত্যেকটি পরতে পরতে রয়েছে স্পা পার্লার ও বার সহ বিভিন্ন হোটেল। যার কারণে দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে সকল ব্যক্তিরা তাদের পরবর্তী ২৪ ঘন্টা প্রস্তুতি প্রায় নগ্ন সকল মেয়েরা। যার কারনে নিজেকে হারিয়ে যাওয়া পাওয়ার ফিরিয়ে আনতেই সকালে হালকা হলেও বিকেলের পর থেকে পিন ফেলার মতোনও জায়গা থাকে না এই দ্বীপে।